কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত ১ম শ্রেণির কুড়িগ্রাম পৌরসভার নেই ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান বা ডাম্পিং জোন। ফলে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ টন ময়লা ফেলা হচ্ছে খোলা জায়গায় কুড়িগ্রাম শহরের ধরলা পাড়ের সড়কের
প্রবেশ মুখে। এতে করে ধরলা পাড়ের রাস্তার দুপাশের সারিসারি গাছগুলো প্রাণ হারাচ্ছে। দূর্গন্ধে বায়ু হচ্ছে দূষিত।
শহরের পরিবেশ হুমকীর মুখে পড়ছে । স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে পৌরবাসী। পৌরসভায় অনেক পরিত্যক্ত ও সরকারী জমি থাকলেও পৌর কর্তৃপক্ষ বলছেন জমি না পাওয়ার
কারণে তারা বাধ্য হয়ে রাস্তার পাশে বর্জ্য আবর্জনা ফেলছে।
প্রায় আড়াই লক্ষ জনসংখ্যার কুড়িগ্রাম পৌরসভার আয়তন ২৭ বর্গ কিলোমিটার। প্রতিষ্ঠার ৪৮ বছরেও এখানে গড়ে ঊঠেনি বর্জ্য
ডাম্পিং জোন। এই অজুহাতে প্রতিদিনের ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে কুড়িগ্রাম ধরলা সেতুর সংযোগ সড়কের দুপাশের খোলা
জায়গায়।
এতে করে পরিবেশ বিনষ্টের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে পৌরবাসী। তিনটি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এই প্রবেশপথ দিয়ে প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করে। উন্মুক্ত স্থানে আবর্জনা
ফেলার কারণে দূর্গন্ধে ভারী হয়ে আছে ওই এলাকার চারপাশ। দীর্ঘদিন ধরে ময়লা আর্বজনা ফেলার ডাম্পিং জোন নির্ধারণ না করায় পৌরবাসী
রয়েছে চরম ভোগান্তিতে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ ও সমাধান চান পৌরবাসী।
মো: আব্দুল জলিল, মেয়র কুড়িগ্রাম বলেন, পৌরসভা কুড়িগ্রাম পৌরসভায় খাস জামি নেই। যে কারণে আমরা ময়লা ফাঁকা জায়গায় ফেলছি। জেলা প্রশাসক ও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে আমরা বিষয়টিজানিয়েছি। খাস জমির ব্যবস্থা হলে এই সমস্যা আর থাকবে না।